
জাকির হোসেন হাওলাদার।
দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা সংরক্ষণ ও স্থানীয় জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায়, পীরতলা খাল পরিষ্কার অভিযানে নেমেছে যুবদল। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলার পিরতলা খালের দুমকি একে হাইস্কুল এলাকা থেকে পীরতলা বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ অংশে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদার, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান দিপু, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আহসান ফারুক, সাবেক সদস্য সচিব সালাউদ্দিন রিপন শরীফ, যুগ্ন আহবায়ক লাল মিয়া,যুগ্ন আহবায়ক সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন, যুগ্ন আহবায়ক সোহেল, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সুমন শরীফ, সাবেক প্রচার সম্পাদক খালিদ রাফি, সদস্য রিয়াদ, জনতা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাকিল, ঈসা শরীফ সহ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে খালের জমে থাকা কচুরিপানা, পলিথিন, প্লাস্টিক ও নানান ধরনের বর্জ্য অপসারণ করেন। এতে স্থানীয় বাসিন্দারাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে সহযোগিতা করেন।
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা সাবেক সদস্য সচিব রিপন শরীফ বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নিজ উদ্যোগে কাটা এই পীরতলা খাল এভাবে অচল হতে দেয়া যায় না, আমরা তার আদর্শকে ধারণ করে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান হাতে নিয়েছি,এই অভিযান চলবে। এই কাজে সহায়তাকারী সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
রাজনীতি শুধু ক্ষমতার নয়, জনগণের কল্যাণেও কাজ করা উচিত। খাল পরিষ্কারের এ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে চাই এবং তরুণ সমাজকে সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত করতে চাই।”অন্যদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, পিরতলা খালটি দীর্ঘদিন অব্যবস্থাপনায় পড়ে থাকায় পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ও দুর্গন্ধে চারপাশের পরিবেশ নষ্ট হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় যুবদলের উদ্যোগে পরিষ্কার অভিযান শুরু হওয়ায় তারা স্বস্তি প্রকাশ করেন এবং এ ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।পীরতলা বনিক সমিতির সভাপতি, ব্যবসায়ী বশির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, “এই খালটি পরিষ্কার থাকলে শুধু পরিবেশই নয়, বাজারের আশপাশও সুন্দর থাকবে। যুবদলের এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার।”স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, যুবদলের এমন উদ্যোগে এই খালটি পুরনো রুপ ফিরে পাবে বলে আমরা আশাবাদী, তাদের এমন কার্যক্রমে আমরা এলাকাবাসী অনেক খুশী।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এ ধরনের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে চালিয়ে গেলে দুমকি হবে একটি পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য উপজেলা।