বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
যমুনার তেল যেন হরিলুটের পণ্য দুমকি উপজেলায় যুবদলের উদ্যোগে পীরতলা বাজার ভারানী খালের কচুরিপানা পরিষ্কার হোমনায় সাপের কামড়ে গৃহবধূ আহত, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চট্টগ্রামে নেই মাছ খালাসের কোন ল্যান্ডিং সেন্টার অগ্নি নির্বাপণ মহড়ার মাধ্যমে ঝুঁকি মোকাবিলা ও ফায়ার এক্সটিংগুইশার যন্ত্র ব্যবহারের কৌশল শেখা যায়- চুয়েট ভিসি চৌদ্দগ্রামে ৮শ প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরন পটুয়াখালী ভার্সিটিতে, নবনির্মিত বাস-শেড উদ্বোধনের আগেই ফাটল: কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯ কনটেইনারের বিপজ্জনক পণ্য ধ্বংস চৌদ্দগ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযানে ইয়াবা ব্যবসায়ী আটক, ২৬৬৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের ঢাকা বাস টার্মিনাল পরিদর্শন।খুব দ্রুতই আধুনিকায়ন এর আশ্বাস 

চট্টগ্রামে নেই মাছ খালাসের কোন ল্যান্ডিং সেন্টার

মোঃ সিরাজুল মনির চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১৩ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ সিরাজুল মনির চট্টগ্রাম ব্যুরো

দেশে সরকার অনুমোদিত বাণিজ্যিক ট্রলার রয়েছে ২৬৮টি। এর মধ্যে সাগরে নিয়মিত মৎস্য আহরণ করে ২৩৫টি। আহরণকৃত বাণিজ্যিক ট্রলারের মধ্যে মাত্র ৫টি উপকূলীয় জেলা খুলনায় মৎস্য খালাস করে। অবশিষ্ট ২৩০টি মৎস্য খালাস করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বেসরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। একই চিত্র দেখা গেছে আর্টিসানাল বোটের ক্ষেত্রেও। দেশের উপকূলীয় ১৬ জেলার ৭৫ উপজেলায় সাগরে মৎস্য আহরণের জন্য অনুমোদিত ফিশিং বোট রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬৭৬টি বোট সাগরে আহরিত মৎস্য খালাস করে চট্টগ্রামে। কিন্তু সরকারিভাবে চট্টগ্রামে কোনো ফিশ ল্যাল্ডিং সেন্টার না থাকায় নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মৎস্য আহরণকারীরা। আধুনিক সুযোগ-সুবিধার অভাবে একদিকে যেমন মাছের গুণাগুণ নষ্ট হচ্ছে, অপরদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে বছরে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ হয় প্রায় ৭ লাখ মেট্রিকটন। আহরিত এসব সামুুদ্রিক মৎস্য দেশের উপকূলীয় বিভিন্ন পয়েন্টে খালাস করা হয়। এর মধ্যে বেশিভাগ মাছ বিপণনের জন্য ফিশিং বোট ও ট্রলার থেকে খালাস করা হয় চট্টগ্রামে। অথচ এখানে সরকারিভাবে নির্মাণ করা হয়নি আধুনিকমানের ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার। নগরের ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় বেসরকারিভাবে একটি ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার থাকলেও সেটি আধুনিকমানের নয়। নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সামুদ্রিক মৎস্য খাতে উন্নয়নের জন্য সরকার দেশের উপকূলীয় ১৬ জেলার ৭৫ উপজেলায় সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। একই প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ১৮টি ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার ও ফিশ হারবার নির্মাণের অনুমোদন ছিল। এর মধ্যে চট্টগ্রামের জন্য অনুমোদন ছিল ৪টি ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টারের। এগুলো দক্ষিণ কাট্টলীর রাসমনি ঘাট এলাকায়, পতেঙ্গায়, সীতাকুণ্ডের কুমিরায় ও বাঁশখালী উপজেলায় নির্মাণের সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু ভূমি সংক্রান্ত জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে চট্টগ্রামে একটিও ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার নির্মাণ হয়নি।

জানতে চাইলে উপ-প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের উন্নয়ন, গবেষণা, মনিটরিংসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বিশাল এই প্রকল্প গ্রহণ করে। এটি বাস্তবায়ন করছে মৎস্য অধিদপ্তর। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। দেশের উপকূলীয় ১৬টি জেলার ৭৫ উপজেলার ৭৫০টি ইউনিয়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এটির কাজ আগামী নভেম্বরে শেষ হবে। কিন্তু প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রামে চারটি ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার নির্মাণের সিদ্ধান্ত থাকলেও ভূমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে একটিও তৈরি হয়নি। তবে এ প্রকল্পের আঙ্গিকে আরো একটি প্রকল্প গ্রহণ করছে সরকার। বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পের অর্থায়ন করতে পারে। এ প্রকল্পের অধীনে বর্তমান প্রকল্প থেকে যেসব বিষয় বাদ গেছে, সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।’

প্রসঙ্গত, দেশের সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরূপণ, আহরণ, বিপণন, নিয়ন্ত্রণ, নজরদারিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, গবেষণা, জেলেদের জীবনমান উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ, উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্য আহরণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকার সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পটি গ্রহণ করে। বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা। পরে অবশ্য সেখান থেকে ৬০০ কোটি টাকা কাটছাঁট হয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সারাদেশে প্রতিবছর মৎস্য উৎপাদন হয় প্রায় ৪৭ লাখ মেট্রিকটন। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ সামুদ্রিক মৎস্য ধরা হলে তাতে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ হয় প্রায় ৭ লাখ ৫ হাজার মেট্রিকটন। এসব সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ হয় প্রায় ৩০ হাজার ফিশিং বোট ও ২৬৮টি ট্রলারের মাধ্যমে। কিন্তু আহরণ ও নিয়ন্ত্রণের তথ্য না থাকায় নানা সমস্যা ছাড়াও সরকার প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারায়। তাই এ খাতে উন্নয়নের জন্য সরকার দেশের ১৬টি উপকূলীয় জেলার ৭৫ উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

সামুদ্রিক মৎস্যের সাথে সংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরের দক্ষিণ কাট্টলী রাসমনিঘাট এলাকার বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে সরকারি জায়গা। সেখানে প্রতিদিন সাগর থেকে আহরিত প্রচুর পরিমাণের সামুদ্রিক মাছ খালাস করা হয় ফিশিং বোট থেকে। কিন্তু সেখানে ফিশ ল্যাল্ডিং সেন্টার না থাকায় খালাসের সময় প্রচুর মাছ নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া সেখানে নেই কোন বরফকল। তাতে অনেক মাছ পচে যায়। এ অবস্থায় সেখানে প্রকল্প থেকে একটি ফিশ ল্যাল্ডিং সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ থাকলেও কার্যত সেটিও বাতিল হয়ে যায়

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ
  • ১৫:৪৮ অপরাহ্ণ
  • ১৭:২৮ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৪২ অপরাহ্ণ
  • ৬:০০ পূর্বাহ্ণ
©2020 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102