কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যুবদল কর্মীর দোকান ও বাড়িঘরে হামলা করেছে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ কর্মীরা। উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের কালকোট গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী যুবদল কর্মী মোঃ হাছান বাদি হয়ে থানায় ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রাকিব ও যুবলীগ কর্মী পাভেল মজুমদারসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবার দুপুরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কালকোট গ্রামের মধ্যমপাড়ায় ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রাকিবের নেতৃত্বে কয়েকজন শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী ও যুবদল কর্মী মোঃ হাছানের দোকানে গিয়ে বলে দোকানদারি করতে কে বলেছে। তখন মোঃ হাছান স্থানীয় কামরুল ইসলাম দোকানটি দিয়েছে বলে জানায়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ নেতা রাকিব অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। গালমন্দ করতে নিষেধ করায় ছাত্রলীগ নেতা রাকিব যুবদল কর্মী মোঃ হাছানকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে শ^াসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায় ও দোকানের ক্যাশ থেকে ৮২৩০ টাকা কৌশলে নিয়ে যায়। হাছানের চিৎকার শুনে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে আসে। ওই সময় দোকান ত্যাগ করে ছাত্রলীগ নেতা রাকিবের নেতৃত্বে যুবলীগ কর্মী পাভেল মজুমদারসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন যুবদল কর্মী মোঃ হাছানের বাড়িতে গিয়ে টিনের ভাউন্ডারী ভাংচুরসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। পরে তাকে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেয় ছাত্র ও যুবলীগ কর্মীরা। স্থানীয়রা আহত যুবদল কর্মী মোঃ হাছানকে উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে পাভেল মজুমদার বলেন, ‘হামলার ঘটনায় আমি জড়িত না। বরং আমি ছোট ভাই রাকিবকে ঝামেলা করতে নিষেধ করেছি’। তবে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাভেল মজুমদার যুবদল কর্মী মোঃ হাছানের বাড়িঘর হামলায় সরাসরি জড়িত ছিল।
চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ সোলেমান শনিবার বিকেলে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ও যুবলীগ কর্মী পাভেল মজুমদারকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।