দিপক চন্দ্র দেব। হোমনা(কুমিল্লা)
তিতাসে চাচির অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় সাত বছরের শিশু সায়মনকে হত্যা ও গুমের ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিক তিতাস উপজেলার বিরামকান্দি গ্রামের বিল্লাল পাঠানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন জেলা দায়রা জজ আদালত। এ ঘটনায় নিহতের চাচি শেফালী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ে মামলার বাদী ও নিহত সাময়নের মা খোরশেদা আক্তার বলেন, আমি আদালতের এই রায়ে সন্তুষ্ট। তবে রাষ্ট্রের কাছে দাবি, আমার সন্তান হত্যাকারীদের শাস্তি যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়। যা দেখে দেশের মানুষ সতর্ক হতে পারে এবং এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকে।
আজ বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিই কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. ইকরাম হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট বিকেলে সায়মন মায়ের সঙ্গে তিতাসের বাতাকান্দি বাজারে যায়। পরে বাড়ি ফেরার পথে সায়মন নিখোঁজ হয়। ঘটনার দুই দিন পর ১৮ আগস্ট সন্ধান চেয়ে তিতাস থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। ১৯ আগস্ট সকালে বজলুর রহমানের বালুর মাঠের ঝোপের ভেতর থেকে সায়মনের পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় সায়মনের মা খোরশেদা আক্তার চাচি শেফালী বেগম এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।পুলিশের তদন্তে বিল্লাল পাঠানের নাম উঠে আসে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে আসামি শেফালী বেগম ও বিল্লাল পাঠানকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়। অভিযোগপত্র দায়ের ও দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি বিল্লাল পাঠানকে মৃত্যুদণ্ড এবং সায়মনের চাচি শেফালী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ টাকা করে জরিমানারও আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুজনকেই লাশ গুমের অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সাজাও ঘোষণা করেন বিচারক। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. ইকরাম হোসেন বলেন, চাচি শেফালী বেগমের সঙ্গে বিল্লাল পাঠানের অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় শিশু সায়মনকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়।