রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের মানবিক কর্মকান্ড চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিট কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা,রোগীদের ভোগান্তি দুমকী – বাকেরগনজ, দু, উপজেলার,চার বছরেও শুরু হয়নি জলিসা- নলুয়া সেতুর নির্মাণ কাজ উন্মুক্ত মানে নকল নয়, মানসম্পন্ন শিক্ষা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে বাউবি” উপাচার্য ড. ওবায়দুল ইসলাম চৌদ্দগ্রামে বাংপাই গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযানের জেরে হামলা ও লুটপাট আহত ১ পটুয়াখালী ভার্সিটিতে পরিদর্শনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান: আধুনিক ব্যায়ামাগার ভবনের উদ্বোধন চাকসু নির্বাচন নিয়ে কিছু বিশ্লেষণ কলমাকান্দায় আবারও পদ্মগোখরো সাপের বাচ্চা ও ডিম উদ্ধার

বাঁশের খাঁচা বিক্রয় করে মহরম আলীর জীবন সংসার চলে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

 

বাঁশের খাঁচায় চলে জীবন সংসার। হাঁস-মুরগি পালনের খাঁচা ঝুলিয়ে ভ্যানগাড়ি চালিয়ে গ্রামের বাজারে বাজারে ফেরি করে বিক্রি করেন মহরম আলী (৬০)। এই বাঁশের তৈরি পণ্য বিক্রি করেই অভাবের সংসার চলে মহরম আলীর। জীবিকার প্রয়োজনে তিনি এ পেশায় প্রায় ৪০বছর ধরে রয়েছেন। কুমিল্লার বিভিন্ন বাজারে ফেরি করে বাঁশের তৈরি হাঁস-মুরগির খাঁচা বিক্রি করে আসছেন তিনি। প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১৫শ টাকার বাঁশের পণ্য বিক্রি হয় তার। খরচ বাদে প্রতিদিন লাভ হয় ৩শ থেকে ৪শ টাকা। যা দিয়ে চলে এই অভাবের সংসার।

মহরম আলীর বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের মুগগাঁও গ্রামে। স্ত্রীসহ দুই ছেলে ও তিন মেয়ে নিয়ে ৭ জনের সংসার তার। এই ব্যবসা করেই দিয়েছেন ৫ ছেলে-মেয়ের বিয়ে। ছেলেরা এখন রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। নিজে থাকছেন আলাদা সংসারে। মেয়েরা আছেন সুখে-শান্তিতে শশুড়বাড়িতে। উপজেলার ভাউকসার বাজারে বাঁশের পণ্য বিক্রি করার সময় এসব কথা বলেন মহরম আলী।

তিনি জানান, দীর্ঘ দিনের এই পেশা ধরে রাখতে এখনো পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সপ্তাহে ২/৩ দিন বরুড়ার দক্ষিন অঞ্চল পাঁচপুকুরিয়া থেকে বাঁশের খাঁচা ক্রয় করে নিয়ে আসতে হয়।তারপর বিক্রি করেন কাছে কিনারার বাজারগুলোতে।
মহরম আলী বলেন, ‘এখন আর আগের মত শরীরে শক্তি পাইনা। আগে বরুড়ার অনেক বাজারে গিয়ে বিক্রি করতাম। একবাড়িয়া,পয়েলগাছা, আড্ডা, মুদাফরগঞ্জ বাজারে যখন আগে এগুলা নিয়ে যাইতাম, নিমিষেই সব বিক্রি হয়ে যেত।এখন এলাকার আশেপাশের বাজার গুলাতে বসে বসে বিক্রি করি। সপ্তাহে দুইদিন ভাউকসার বাজারে বসি এই পন্য গুলা নিয়ে।।কখনো কখনো এলাকায় ঘুরে বিক্রি করি। আগে বাঁশের পন্য অনেক ধরনের আনলেও এখন শুধু বাঁশের খাঁচা বিক্রি করি। প্রতিবার ৪০ টা করে খাঁচা ক্রয় করে নিয়ে আসি।এগুলা বিক্রি শেষ হলে আবার আনি।প্রতিটা ১২০ টাকা করে ক্রয় করে, বিক্রি করা হয় ১৫০/১৬০ টাকা করে।প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকার মত বিক্রি করতে পারি। কয়েক বছর আগেও যেখানে প্রতিদিন ৩ হাজার এর উপর বিক্রি করতে পারতাম।কিন্তু এখন প্লাস্টিক পন্যের কারনে আমাদের এই ব্যবসায় কিছুটা ধস পড়েছে।’

তিনি আরো জানান, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে বাঁশ এর খাঁচা কিনে বিক্রি করি।সেই লাভের টাকায় ঋণ শোধ করা, সংসার চালানো সব। তবে এনজিওর ঋণের সুদ বেশি।যদি স্বল্প সুদে সরকারিভাবে ঋণ পাওয়া যেত তাহলে আমার জন্য খুব উপকার হতো।

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৪৪ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ
  • ১৫:৫৫ অপরাহ্ণ
  • ১৭:৩৬ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৫০ অপরাহ্ণ
  • ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ
©2020 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102