
মোঃ সিরাজুল মনির
সরকার ঘোষিত ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর আয়োজনে এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় ‘তারুণ্যের উদ্ভাবনী শক্তি, কৃষি রূপান্তরের চালিকা শক্তি’ শীর্ষক একটি সেমিনার অদ্য ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আলিমুল ইসলাম। বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ.টি.এম মাহবুব-ই-ইলাহী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা অধিশাখার যুগ্ম সচিব ড. মোঃ লুৎফর রহমান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. সামিউল আহসান তালুকদার এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ জসিম উদ্দিন আহমেদ।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএআরসি’র কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সদস্য পরিচালক এবং ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ কর্মসূচি আয়োজক কমিটির আহবায়ক ড. মোঃ মোশাররফ উদ্দিন মোল্লা। সেমিনারে ‘তারুণ্যের উদ্ভাবনী শক্তি, কৃষি রূপান্তরের চালিকা শক্তি’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএআরসি’র কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং এপিসিইউ-বিএআরসি, পার্টনার প্রকল্পের ডেপুটি প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর (এইচআরডি) ড. মোঃ আব্দুস সালাম। অনুষ্ঠানে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীও তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
সেমিনারে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শেষ বর্ষ ও মাস্টার্স পর্বের শিক্ষার্থী, তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কৃষি মন্ত্রণালয় ও বিএআরসি’র কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী, বিভিন্ন এনজিও ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিসহ প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে তরুণদের উৎসাহিত করতে কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ১০ জন উদ্যোক্তার সফলতার গল্প উপস্থাপন করা হয়। তাঁরা হলেন: মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম (অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা), কৃষিবিদ মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন তুলিপ (কফি চাষ সম্প্রসারণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ), শাহীদা বেগম (পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ), আব্দুল হালিম (নিরাপদ সবজি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ), কৃষিবিদ মোঃ মোবারক হোসেন (মধু উৎপাদন ও জৈব কৃষির সম্প্রসারণ), প্রকৌশলী মোঃ মিলন মিয়া (জৈব সার উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ), মোঃ ইসমাইল (নিরাপদ শুঁটকি মাছ উৎপাদন), কৃষিবিদ আল মামুন (রঙিন মাছ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ), কৃষিবিদ ডা. মোঃ তাজাম্মুল হক (প্রযুক্তি নির্ভর উদ্ভাবনী সেবা) এবং কৃষিবিদ মোঃ নাজমুস সাকিব (টেকসই কৃষি প্রযুক্তি বিস্তার)।