শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পটুয়াখালী ভার্সিটিতে ডিবেটিং ক্লাবের নেতৃত্বে শাহরিয়ার মেরাজ ও সিরাতুন্নবী দুমকী উপজেলার চরবয়ড়ায় নির্মাণের ৮ মাসের মাথায় সড়কে ধস হতাশ এলাকাবাসী ব্যবসায়ীদের নাজুক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য শক্তিশালী চেম্বার দরকার। আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী দুমকি উপজেলায় ২৫ লাখ টাকার সেতুতে উঠতে হয় বাঁশ-কাঠের মই বেয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে আমাদের আরও প্রযুক্তিনির্ভর হতে হবে” সিনিয়র সচিব পটুয়াখালী ভার্সিটিতে আন্তঃঅনুষদীয় ভলিবল টুর্নামেন্ট-২৫ এর উদ্বোধন ১২ নির্দেশনা মেনে ১ নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করতে পারবে পর্যটকরা চৌদ্দগ্রামে আমানগন্ডা সীমান্তে ১৯ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর চট্টগ্রামে ওয়াসিম হত্যা: ছাত্রলীগ ক্যাডার নেজাম গ্রেফতার স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব

চট্টগ্রামের উপজেলা পরিক্রমা( মীরসরাই ) দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল ও দর্শনীয় স্থান মীরসরাই

সিরাজুল মনির
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ সিরাজুল মনির চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম জেলার একটি উপজেলা হলো মিরসরাই। দুইটি থানা ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই উপজেলাটি যার আয়তন ৪৮২ কিলোমিটার এর ও অধিক ।একে চট্টগ্রাম এর প্রবেশদ্বার বলা যায়, মুহুরি নদী ফেনী এবং নোয়াখালী জেলা থেকে এটিকে আলাদা করেছে। এক সময় কৃষি কাজ ছিল এই উপজেলার মান উন্নয়ন ভাগ্য বদলানোর হাতিয়ার। এই উপজেলা এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল জাতীয় বিষয় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠেছে, এখানে হাজার হাজার লোকের কর্মস্থল তৈরি হচ্ছে, মীরসরাই উপজেলাকে দেশ এবং বিশ্বের কাছে ফুটিয়ে তুলেছে এ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এখানে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে এই উপজেলায়। পাহাড় সমতল নদী সম্মলিত এই উপজেলাটি দেশ এবং দেশের বাইরে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ইতিমধ্যে।

ইকোনমিক জোন
সরকার মিরসরাই য়ের প্রায় এর প্রায় ৩০ হাজার একর জায়গা জুড়ে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ শুরু করে দিয়েছে যা ইকোনমিক জোন হিসেবে পরিচিত। ঠিকঠাক এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি গড়ে উঠলে প্রায় ৩০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে এই অঞ্চলে। দেশের সর্ববৃহৎ এই অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগ বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত এবং দেশ ও বিদেশের বড় বড় গ্রুপ অব কোম্পানিকে এখানে তাদের শিল্প কারখানা গড়ে তোলার জন্য জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্তমান এই ইকোনমিক জোনে অবকাঠামগত উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে।

মহামায়া লেক

পর্যটন সমৃদ্ধ এলাকা হলো মিরসরাই উপজেলা। এখানের অনেক দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে মিরসরাই মহামায়া লেক একটি পরিকল্পিত পর্যটন কেন্দ্র। বিশালাকৃতির কৃত্রিম লাইফ থেকে এখানে পর্যটন কেন্দ্র সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রতিদিন শত শত পর্যটক মহামায়া লেক পরিদর্শনে আসে। মিরসরাই উপজেলার ৮ নম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঠাকুর দিঘী বাজারের পার্শ্ববর্তী এলাকায় মহামায়া লেকের অবস্থান। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একেবারে পাশে হওয়ায় পর্যটকরা এটি পরিদর্শনে খুব বেশি আকৃষ্ট হয়। প্রায় এগারো বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই লেকটি বিস্তৃত। চট্টগ্রাম শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে এটির অবস্থান হলেও নিরিবিলি পরিবেশ এবং বড়লেখাওয়ায় পর্যটকরা এটি পরিদর্শনে যায় প্রতিনিয়ত।

বোয়ালিয়া ঝরনা
মিরসরাই উপজেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে যে কয়েকটি ঝর্ণাধারা রয়েছে তার মধ্যে বোয়ালিয়া ঝরনা একটু বিপদজনক হলেও দেখতে খুব সুন্দর তাই পর্যটকরা আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে বোয়ালিয়া জন্য পরিদর্শনে যায়। এ ঝর্ণা মূলত পাহাড়ী অঞ্চলে বিস্তৃত হওয়ায় এখানে বিভিন্ন প্রকারের প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়। পাহাড়ের মাঝে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হওয়ায় আশেপাশের পরিবেশকে যথেষ্ট সুন্দর করে তুলেছে বোয়ালিয়া ঝর্ণা। এই উপজেলায় মূলত পাঁচ থেকে ছয়টি ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হয়েছে তার মধ্যে বোয়ালিয়া ঝর্ণা সবার কাছে পরিচিত এবং প্রায় প্রতিদিন শত শত পর্যটক পাথরে পাহাড় এবং বিস্তীর্ণ জনপথ পেরিয়ে বোয়ালিয়া ঝর্ণা পরিদর্শনে যায়। চট্টগ্রাম শহরের কাছাকাছি হওয়ায় এই উপজেলাতে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দিনের মধ্যে ঘুরে আসা যায়। চট্টগ্রামের বাইরের পর্যটকদের মাঝে মিরসরাই এলাকার পর্যটন এবং দর্শনীয় স্থানগুলো খুবই জনপ্রিয়।

মিরসরাই উপজেলায় এসব দর্শনীয় স্থান বাদে খৈয়াছড়া ঝরনা শুভপুর ব্রিজ করেরহাট বনাঞ্চল উপকূলীয় বনাঞ্চল নয়া দুয়ারী মসজিদ ছোট খা মসজিদ শমসের গাজীর কেল্লা বাওয়াছড়া সেচ প্রকল্প মুহুরী সেচ প্রকল্প সহ আরো অনেক নয়াবিরাম দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এসব দর্শনীয় স্থানগুলো প্রতিদিন ভ্রমণ করতে আসে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভ্রমন পিপাসু পর্যটকরা। মিরসরাই উপজেলা সদরে এবং বারের হাটে পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠেছে ছোট ছোট কিছু আবাসিক হোটেল।

পর্যটকরা বলেন এই উপজেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পাহাড়ি অঞ্চলে হওয়ায় নিরাপত্তা ঝুঁকি থেকে যায় তাই স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আরো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। বিশেষ করে সন্ধ্যাকালীন সময়ে পর্যটন এলাকাগুলোতে পর্যটকদের ঝুঁকি থাকে। অন্তত রাত আটটা পর্যন্ত দর্শনীয় স্থানগুলোতে যাতে অবাধে ঘোরাফেরা করা যায় তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
  • ১৫:৪৩ অপরাহ্ণ
  • ১৭:২৩ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৩৮ অপরাহ্ণ
  • ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ
©2020 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102